রেপিড এন্টিজেন না আরটি পিসিআর টেস্ট কোনটি করবেন?

কোভিড-১৯ পরীক্ষার জন্য প্রচলিত দুইটি টেস্ট রেপিড এন্টিজেন এবং আরটি পিসিআর টেস্ট কোনটি করা ভালো?

0 62,530


কোভিড-১৯ করোনা ভাইরাসের সংক্রমন পরীক্ষার করার জন্য বর্তমানে সবচেয়ে জনপ্রিয় দুটি পরীক্ষা হলো রেপিড এন্টিজেন টেস্ট এবং আরটি পিসিআর টেস্ট। দুটি টেস্ট ই বিভিন্ন কারনে জনপ্রিয়। রেপিড এন্টিজেন টেস্ট অধিকাংশ ক্ষেত্রে ১৫ মিনিটের মধ্যেই ফলাফল জানিয়ে দিতে পারে এবং খরচ তুলনামূলক কম বলে বেশীরভাগ মানুষ এই টেস্ট করার জন্য আগ্রহ দেখায়। এন্টিজেন টেস্ট এ ভাইরাল প্রোটিনের উপস্থিতি পরীক্ষা করা হয়। অন্যদিকে আরটি পিসিআর টেস্ট এ করোনা ভাইরাসের আরএনএ এর উপস্থিতি পরীক্ষা করা হয়। আসুন এবার জানা যাক কোন পরীক্ষাটি আমাদের করা উচিত।

যখন আপনাকে দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে হবে এবং বিশেষ কোন কারণে আপনার এখোনি ফলাফল জানা দরকার তখন রেপিড এন্টিজেন টেস্ট ছাড়া আপনার কোন বিকল্প নেই। কিন্তু আপনি এর ফলাফলের উপর কতটুকো নির্ভর করতে পারবেন? এন্টিজেন টেস্ট এ ফলস পজিটিভ রেজাল্ট এর হার কম যদি আপনি ভালো মানের টেস্ট কিট ব্যবহার করে থাকেন। তাই আপনার ফলাফল পজিটিভ হলে আপনি প্রায় নিশ্চিত হতে পারেন যে আপনি আক্রান্ত হয়েছেন। তবে সমস্য হলো এন্টিজেন টেস্ট এর ফলস নেগেটিভ রেজাল্ট এর হার খুব বেশী। অর্থাৎ আপনার ফলাফল নেগেটিভ হলেও বাস্তবে তা নেগেটিভ হবার সম্ভাবনা কম। এজন্য এন্টিজেন টেস্ট এর ফলাফল নেগেটিভ পেলে আপনার খুশি হবার কোন কারণ নেই বরং আপনি নেগেটিভ ভেবে বসে থাকলে তা আরো বড় বিপদের কারণ হতে পারে এবং আপনার দ্বারা আরো অনেকেই সংক্রমিত হবে। তাই রেজাল্ট নেগেটিভ হলে আপনাকে নিশ্চিত হবার জন্য পুনরায় আরটি পিসিআর টেস্ট করতেই হবে। এন্টিজেন টেস্ট এ নেগেটিভ রেজাল্ট আসার পর পুনরায় আরটি পিসিআর টেস্ট করে পজিটিভ রেজাল্ট আসার পরিমান কম নয়।

- Advertisement -

আরও পড়ুন: রেপিড এন্টিজেন টেস্ট এ যে কারনে নেগেটিভ রিপোর্ট দেয়া যায়না।

এবার জানা যাক আরটি পিসিআর টেস্ট সম্পর্কে। আরটি পিসিআর টেস্ট এ ফলস পজিটিভ এর হার খুব কম বা নেই বললেই চলে। তাই পজিটিভ রেজাল্ট পেলে আপনি পুরোপুরি নিশ্চিত হতে পারেন যে আপনি আক্রান্ত। আর নেগেটিভ রেজাল্ট এর ক্ষেত্রে এন্টিজেন টেস্ট এর মতো ফলস নেগেটিভ এর হার খুব বেশী নয়। তাই আরটি পিসিআর টেস্ট এর ফলাফল নেগেটিভ পেলে আপনি মোটামুটি নিশ্চিত হতে পারেন। তবে যেসব কারণে ফলস নেগেটিভ আসতে পারে তা হলো কোন কোন ক্ষেত্রে পরীক্ষায় ভাইরাসের আরএনএ এর উপস্থিতি নিশ্চিত হতে অনেক বেশী সময় লেগে যেতে পারে, এসময়ের মধ্যে পরীক্ষা সমাপ্ত করা হলে তার ফলাফল ফলস নেগেটিভ হতে পারে। ঠিক মতো যদি সেম্পল নেওয়া না হয় বা সঠিক ভাবে সংরক্ষণ করা না হয় সে ক্ষত্রেও ফলস নেগেটিভ রেজাল্ট আসতে পারে। আক্রান্ত ব্যক্তি যদি এমন কোন কিছু গ্রহণ করে আসেন যার কারনে গলায় ও নাকের ভিতরে থাকা ভাইরাস ধ্বংস হয়ে যায় সেক্ষেত্রে ফলস নেগেটিভ রেজাল্ট আসতে পারে। এছাড়া কোভিড-১৯ করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হবার পর মোটামুটি ৬দিনের মধ্যে এর উপস্থিতি বোঝা সম্ভব হয়না বলে এ সময় টেস্ট করলে তার ফলাফল ফলস নেগেটিভ আসতে পারে। তবে আরটি পিসিআর টেস্ট এর খরচ বেশী এবং পরীক্ষা সম্পন্ন করতে ৩ঘন্টা বা আরও বেশী সময় লেগে যায় বলে অনেকেই এটি করতে চান না।

ভারতে বর্তমানে আরটি পিসিআর টেস্ট এর জন্য নেয়া হয় আড়াই হাজার রুপী আর বাংলাদেশে তিন হাজার টাকা বা তার থেকেও বেশী। তবে খুশীর সংবাদ হলো বাংলাদেশ সরকার বিপুল পরিমান টাকা ভর্তুকি দিয়ে জনসাধারণের জন্য খুব অল্প খরচে এ পরীক্ষার ব্যবস্থা করেছে। এই মহামারী মোকাবেলায় আসুন আমরা সকলেই সচেতন হই।

- Advertisement -

Comments
Loading...