পার্বত্য চট্টগ্রামের রাঙ্গামাটি জেলার কাউখালি এলাকায় ইউপিডিএফ (মূল) এর গোপন আস্তানার সন্ধান: গোলাবারুদসহ বিপুল দ্রব্য সামগ্রী উদ্ধার,,

- Advertisement -

রাঙ্গামাটি প্রতিনিধিঃ

 

 

 

ঢাকা, ০৭ মার্চ ২০২৫ (শুক্রবার): গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে আজ ভোর ০৫.৩০ ঘটিকায় পার্বত্য চট্টগ্রামের রাঙ্গামাটি জেলার কাউখালি এলাকায় ইউপিডিএফ (মূল) এর শীর্ষস্থানীয় সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী একটি বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে। সাম্প্রতিক সময়ে পার্বত্য এলাকায় ইউপিডিএফ (মূল) সন্ত্রাসীদের চাঁদাবাজি, গুম, হত্যা,  ও অস্ত্র সংগ্রহসহ স্থানীয় জনগণের ওপর নির্যাতন নিপীড়নের মাত্রা বৃদ্ধি পাওয়ায় নিরাপত্তা বাহিনী বিশেষভাবে সতর্ক অবস্থান নেয় এবং এরই ধারাবাহিকতায় উক্ত অভিযান পরিচালিত হয়। অভিযান চলাকালে সেনাবাহিনীর উপস্থিতি টের পেয়ে ইউপিডিএফ (মূল) এর শীর্ষস্থানীয় সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়, তবে তাদের ফেলে যাওয়া বিপুল পরিমাণ অস্ত্র, গোলাবারুদ এবং অন্যান্য সামরিক সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়। অভিযান শেষে সেনাবাহিনী ঘটনাস্থল থেকে ইউপিডিএফ (মূল) সন্ত্রাসীদের ব্যবহৃত  অনেকগুলো  রাইফেল এ্যমুনিশন,  বাইনোকুলার, ওয়াকি-টকি সেট, হার্ডডিস্ক, সন্ত্রাসীদের ব্যবহৃত ইউনিফর্ম এবং চাঁদা আদায়ের রশিদসহ আরও বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সরঞ্জামাদি জব্দ করে। এটি প্রমাণ করে যে, ইউপিডিএফ (মূল) সন্ত্রাসীরা সুসংগঠিত এবং তাদের কার্যক্রম শুধু চাঁদাবাজির মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়, বরং তারা পার্বত্য অঞ্চলে সশস্ত্র কার্যক্রম পরিচালনারও চেষ্টা করছে।

 

 

 

 

সেনাবাহিনীর এই সফল অভিযানের ফলে পার্বত্য চট্টগ্রামের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি হবে এবং স্থানীয় জনগণ সন্ত্রাসী কার্যক্রম থেকে হলেও মুক্তি পাবে বলে মনে করা হচ্ছে। গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর মতে, ইউপিডিএফ (মূল) দীর্ঘদিন ধরে পার্বত্য এলাকায় তাদের সশস্ত্র কার্যক্রম পরিচালনা করছে এবং স্থানীয় জনগণের ওপর চাঁদাবাজি, ভয়ভীতি প্রদর্শনসহ বিভিন্ন ধরনের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড চালিয়ে আসছে। সেনাবাহিনীর বিশেষ এই অভিযানের ফলে তাদের নেটওয়ার্কে বড় ধরনের ধাক্কা লাগবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে পালিয়ে যাওয়া সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের সন্ধানে সেনাবাহিনীর অভিযান অব্যাহত রয়েছে এবং তাদের গ্রেপ্তারে বিভিন্ন কৌশলগত পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে সবসময় তৎপর রয়েছে এবং ভবিষ্যতে এ ধরনের সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান আরও জোরদার করা হবে। সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, পার্বত্য অঞ্চলের জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং সন্ত্রাসীদের কার্যক্রম সম্পূর্ণরূপে নির্মূল করতে প্রয়োজনে আরও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এই অভিযানের ফলে সেনাবাহিনীর প্রতি স্থানীয় জনগণের আস্থা আরও বৃদ্ধি পেয়েছে এবং তারা সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছে। সেনাবাহিনীর এই সফল অভিযানের জন্য সর্বস্তরের জনগণ সন্তোষ প্রকাশ করেছে এবং পার্বত্য চট্টগ্রামের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আরও কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছে। সেনাবাহিনীর এই নিরবচ্ছিন্ন অভিযান পার্বত্য অঞ্চলের দীর্ঘদিনের সন্ত্রাসী কার্যক্রম দমনে একটি বড় অর্জন হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুন
আপনার নাম লিখুন

এ সম্পর্কিত পোস্ট:

সেনাবাহিনীর প্রচেষ্টায় পার্বত্য চট্টগ্রামে বম জনগোষ্ঠীর প্রত্যাবর্তন: শান্তির পথে দৃঢ় পদক্ষেপ

বান্দরবান প্রতিনিধিঃ   দীর্ঘদিন পর পার্বত্য চট্টগ্রামের বান্দরবান জেলার রুমা উপজেলার নিজ গ্রামে ফিরেছে বাস্তুচ্যুত বম জনগোষ্ঠীর পরিবারগুলো। কুকি চিন...

সোশ্যাল মিডিয়ায় সন্ত্রাসীদের মিথ্যা বানোয়াট প্রকাশিত তথ্যের প্রতিবাদ

মো. গোলামুর রহমান।।   গত ২৫ জুন ২০২৫ তারিখ “লংগদুতে বিজিবি কর্তৃক জুম্ম গ্রামবাসীকে হয়রানি ও ভয়ভীতি প্রদর্শন” শিরোনামে একটি...

ভূ-রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রে পার্বত্য চট্টগ্রাম ও চট্টগ্রাম বন্দর প্রথম টার্গেট: দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় ঐক্যের ডাক নাগরিক সমাজের।

চট্টগ্রাম প্রতিনিধিঃ         চট্টগ্রাম, ১৮ জুন — চট্টগ্রাম ও পার্বত্য চট্টগ্রাম নিয়ে বহুমাত্রিক ভূ-রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তুলে দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায়...

ধর্মীয় কোন উপাসনালয় ও নিরাপদ নয় পার্বত্য চট্টগ্রামে।

**ডেস্ক রিপোর্টঃ** পার্বত্য জেলা বান্দরবানের রোয়াংছড়ি উপজেলার ত্রিপুরা সম্প্রদায়ের ইসলাম ধর্ম গ্রহণকারী শহীদ ওমর ফারুককে আজকের এই দিনে তার...