শোষণ-অত্যাচারের বিরুদ্ধে বাঙ্ময় ছিলেন, শঙ্খ ঘোষের প্রয়াণে শোকপ্রকাশ বিমান বসুর
করোনায় (coronavirus) প্রথম ঝড়কে জয় করতে পারলেও পারলেন না দ্বিতীয় ঝড়কে জয় করতে। এদিন সকালে উল্টোডাঙায় নিজের ফ্ল্যাটেই প্রয়াত হন বাংলা সাহিত্যের অন্যতম নক্ষত্র শঙ্খ ঘোষ (shankha ghosh)। তিনি শুধু বাংলা ভাষাকেই আগলে রাখেননি, সাম্রাজ্যবাদ থেকে সাম্প্রদায়িকতা, সবেতেই প্রতিবাদের অন্যতম মুখ ছিলেন তিনি। এদিন তাঁর প্রয়াণে শোকপ্রকাশ করেছেন বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু (biman bose)।
কবিতা ও সাহিত্য জগতের জ্যোতিষ্ক: শোকবার্তায় বিমান বসু বলেছেন, শঙ্খ ঘোষ দীর্ঘ সময় যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা করেছেন। কবিতা ও সাহিত্য জগতের এক জ্যোতিষ্ক ছিলেন তিনি। ছিলেন বিশিষ্ট রবীন্দ্র বিশেষজ্ঞ। সাহিত্যের ক্ষেত্রে তিনি বিপুল অবদান রেখে গেছেন। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতার সময়ে তিনি গণতন্ত্রের পক্ষে, স্বৈরতন্ত্রের বিরুদ্ধে যে অবস্থান নিয়েছিলেন তা আজকের দিনে স্মরণে রাখতে হবে।
পরিচয় দীর্ঘদিনের: বিমান বসু বলেছেন, কবির সঙ্গে তাঁর পরিচয় বহুদিনের। অবশ্যই প্রতিবাদী কণ্ঠস্বর হিসাবে তাঁকে পেয়েছিল বামেরা। সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী শান্তি আন্দোলনে তিনি সক্রিয় ছিলেন। শোষণ অত্যাচারের বিরুদ্ধে বাঙ্ময় ছিলেন। সাম্প্রদায়িকতা বিরোধী মহামিছিলে অসুস্থ শরীরেও তিনি অংশগ্রহণ করেছিলেন। বিমান বসু জানিয়েছেন, বিদ্যাসাগরের দ্বিশতবার্ষিকী উদযাপন কমিটির সভাপতি ছিলেন। সাম্রাজ্যবাদ, সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে এক সোচ্চার কণ্ঠ আজ নীরব হয়ে গেল।
পরিবারের প্রতি সমবেদনা: বিমান বসু তাঁর শোকবার্তায় বলেছেন শঙ্খ ঘোষের জীবনাবসানে গভীর শোকাহত বোধ করছেন। তিনি তাঁর স্ত্রী, সন্তানদের প্রতি আন্তরিক সমবেদনা জানিয়েছেন।
করোনা আক্রান্ত হওয়ার পরে বাড়িতেই মৃত্যু: করোনা আক্রান্ত হওয়ার পরে বাড়িতেই মৃত্যু ১৪ এপ্রিল শঙ্খ ঘোষের করোনা রিপোর্ট পজিটিভ আসে। তিনি হাসপাতালে ভর্তি হতে না চাওয়ায় বাড়িতেই আইসিইউ-এর মতো ব্যবস্থা করা হয়েছিল। তাঁর ব্যক্তিগত চিকিৎসক জানিয়েছেন, মঙ্গলবার রাতে শঙ্খ ঘোষের পরিস্থিতি খারাপ হয়। এরপর এদিন বেলা এগারোটার কিছু পরে তাঁর মৃত্যু হয়।