লকডাউন সবসময় থাকবে না : ওবায়দুল কাদের

- Advertisement -

পরিবহণ মালিক ও শ্রমিকদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আন্তরিকতার ওপর আস্থা রাখার আহ্বান জানিয়েছেন সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেছেন, ‘বাস্তব পরিস্থিতি বিবেচনা করে আপনাদের পাশে দাঁড়ানোর এজেন্ডা সরকারের আছে। আমি সবাইকে ধৈর্য ধরে অপেক্ষা করতে বলব। লকডাউন সবসময় থাকবে না। এ অবস্থার অবসান হবে, আপনারা যদি সহযোগিতা করেন।’

আজ শনিবার বিআরটিসি ও বিআরটিএর ঢাকা সড়ক জোনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে ভার্চুয়ালি এক মতবিনিময়ে মালিক-শ্রমিকদের উদ্দেশে এসব কথা বলেন ওবায়দুল কাদের।

এর আগে অবিলম্বে দূরপাল্লার বাস চালুর দাবিতে আজ জাতীয় প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে মালিক-শ্রমিকদের বিভিন্ন সংগঠন। এসব সংগঠনের নেতারা বলেন, সব কিছু খোলা রেখে শুধু দূরপাল্লার বাস বন্ধ করে রোধ করা যাবে না করোনাভাইরাসের বিস্তার। এ সময় বাংলাদেশ সড়ক পরিবহণ শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি ও সাবেক নৌপরিবহণ মন্ত্রী শাজাহান খান বলেন, পাঁচ দফা দাবি না মানলে ঈদের দিন সারা দেশের বাস-ট্রাক টার্মিনালে অবস্থান কর্মসূচিসহ পরবর্তীতে আরও কঠোর আন্দোলনের ঘোষণা দেন।

ফেরিঘাট ও শপিং মলে মানুষের উপচে পড়া ভিড় এবং স্বাস্থ্যবিধি লঙ্ঘন প্রসঙ্গে হতাশা ব্যক্ত করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, মানুষের এমন অসচেতনতার ফলে আবারও বাড়তে পারে করোনার প্রকোপ। আগে জীবন, পরে জীবিকা। এই মুহূর্তে বেঁচে থাকাটাই জরুরি।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বেঁচে থাকলে ভবিষ্যতে অনেক আনন্দ উৎসব করা যাবে, কাজেই এবার অন্তত সবাই মিলে ত্যাগ স্বীকার করি।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আহ্বানে যার যার অবস্থানে থেকে ঈদ উদযাপন করতে সবার প্রতি অনুরোধ জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আসুন সবাই মিলে প্রাণঘাতী এই করোনাকে প্রতিরোধ করি।

এ সময় সড়ক পরিবহণ মন্ত্রী ঈদকে সামনে রেখে পরিবহণ ও যাত্রীদের চাপ থাকায় ঢাকার প্রবেশমুখগুলোতে চাপ বেড়ে যায়, তাই ট্রাফিক ম্যানেজমেন্টের বিষয়টি সমন্বয় করে জনভোগান্তি লাঘবে পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান।

মন্ত্রী বর্ষার আগেই রাস্তা মেরামতের কাজগুলো করার জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়ে বলেন, চলমান গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পের কাজগুলো অগ্রাধিকার ভিত্তিতে শেষ করতে হবে। পুরাতন কাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত নতুন কোনো প্রকল্প হাতে না নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেন।

তৃতীয় শীতলক্ষ্যা সেতুর নির্মাণকাজ ধীর গতিতে এগুচ্ছে, ওবায়দুল কাদের এই সেতুর কাজের গতি বাড়াতে কর্তৃপক্ষকে নির্দেশনা দেন।

বিআরটিসিকে লাভের ধারায় ফিরে আসতে হবে জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বারবার লোকসানের কথা আর শুনতে চাই না।’ তিনি বিআরটিসির কর্মচারীদের বেতন-ভাতা পরিশোধ করতে সংশ্লিষ্ট বিভাগের চেয়ারম্যানকে নির্দেশ দেন।

মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুন
আপনার নাম লিখুন

এ সম্পর্কিত পোস্ট:

পাহাড় শান্তির পথে বড় বাধা “জেএসএস” – চুক্তির আড়ালে সন্ত্রাসের রাজনীতি

ডেস্ক রিপোর্টঃ         পার্বত্য চট্টগ্রামের শান্তিচুক্তির ২৭ বছর পরও পাহাড়ে শান্তির স্থায়িত্ব আজ বড় এক প্রশ্নের সম্মুখীন। আর এই অস্থিরতার...

সেনাবাহিনীর প্রচেষ্টায় পার্বত্য চট্টগ্রামে বম জনগোষ্ঠীর প্রত্যাবর্তন: শান্তির পথে দৃঢ় পদক্ষেপ

বান্দরবান প্রতিনিধিঃ   দীর্ঘদিন পর পার্বত্য চট্টগ্রামের বান্দরবান জেলার রুমা উপজেলার নিজ গ্রামে ফিরেছে বাস্তুচ্যুত বম জনগোষ্ঠীর পরিবারগুলো। কুকি চিন...

সোশ্যাল মিডিয়ায় সন্ত্রাসীদের মিথ্যা বানোয়াট প্রকাশিত তথ্যের প্রতিবাদ

মো. গোলামুর রহমান।।   গত ২৫ জুন ২০২৫ তারিখ “লংগদুতে বিজিবি কর্তৃক জুম্ম গ্রামবাসীকে হয়রানি ও ভয়ভীতি প্রদর্শন” শিরোনামে একটি...

ভূ-রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রে পার্বত্য চট্টগ্রাম ও চট্টগ্রাম বন্দর প্রথম টার্গেট: দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় ঐক্যের ডাক নাগরিক সমাজের।

চট্টগ্রাম প্রতিনিধিঃ         চট্টগ্রাম, ১৮ জুন — চট্টগ্রাম ও পার্বত্য চট্টগ্রাম নিয়ে বহুমাত্রিক ভূ-রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তুলে দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায়...