আওয়ামী লীগ কিভাবে প্রতিক্রিয়া দেখাবে, যদি শেখ হাসিনার মৃত্যুদন্ডের রায় হয়ে যায়! হাসিনা কি দেশে ফিরবে, বা দেশে আসতে বাধ্য হবে? ভারতের আসন্ন রাজনৈতিক অস্থিরতা দেখে মনে হচ্ছে সেখানে মোদি সরকার আর বেশিদিন থাকতে পারবেনা। মোদি সরকারের পতন না হলেও হাসিনাকে তারা আর বেশি দিন রাখবে বলে মনে হচ্ছেনা। এটা তাদের পরিকল্পনার একটা অংশ।
শেখ হাসিনা দেশে আসার পর কি গ্রেফতার হবেন? নাকি নিজের মতো করে রাজত্ব কায়েম করে সবাইকে প্রতিহত করার ঘোষনা দিবেন? তার সেটআপ করা অধিকাংশ লোকবল বহাল আছে। শেখ হাসিনা আসলে তারা সবাই একসাথে নেমে পড়বে। এমনকি তিনি গ্রেফতার হলেও একই ঘটনা ঘটবে।
আওয়ামী লীগ ইতিমধ্যেই তাদের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করে ফেলেছে। এমনকি সশস্ত্র যুদ্ধের প্রস্তুতি রয়েছে তাদের। পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণ ইতিমধ্যেই তারা গ্রহণ করেছে। অধিকাংশই তাদের নিজ জেলা থেকে অবস্থান পরিবর্তন করে অন্য জেলায় অবস্থান করছে যাতে স্থানীয়রা তাদের চিনতে না পারে। অনেকেই অত্মগোপনে আছে কিন্তু নিজেদের এলাকার আশেপাশে। দেশে অবস্থান করেও অনেকে তাদের পরিচিতজনদের জানায় তারা দেশের বাইরে আছে। তবে সবাই একই সময় দেশে আসবে বলে জানায়। সেই সময়টা নভেম্বর থেকে ডিসেম্বর।
নভেম্বর থেকে ডিসেম্বরের মধ্যেই তারা সবাই আবার সর্বোচ্চ শক্তি নিয়ে আত্মপ্রকাশ করবে। এটা অবশ্যই সশস্ত্র সংগ্রামে রূপ নেবে। প্রতিবিপ্লব সফল করার সর্বোচ্চ চেষ্টা তারা করবে। ক্ষয়খতি ও প্রাণহানি যে ব্যপক হবে তাতে কোন সন্দেহ নেই।
আওয়ামী লীগ তাদের প্রস্তুতি শেষ করেছে। জুলাই বিপ্লবের অংশীদারগন কি ঐক্যবদ্ধ থাকবে নাকি বিভক্ত হয়ে যাবে। এর মধ্যেই আমরা বিভক্তির অনেকগুলো ঘটনা প্রত্যক্ষ করেছি। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্বাচন সহ ভবিষ্যতে স্থানীয় যে কোন নির্বাচনকে ঘিরে খুব বড় ধরনের বিভেদের আশংকা রয়েছে। যার কারনে আওয়ামী লীগ আরও শক্তিশালী অবস্থান পেতে পারে। জুলাইকে পূঁজি করে যারা নিজেদের আখের গোছানোর চিন্তা করে ব্যর্থ হয়েছেন তারাও আওয়ামী লীগের হাত আবার শক্তিশালী করবে।
বড় দল গুলোর কেউ যদি হিসেব করে, আওয়ামী লীগের বিরদ্ধে গিয়ে আমরা কি অর্জন করতে পেরেছি, তাতেও অবাক হবার কিছু নেই। অতএব পরিস্থিতি যে খুব ভয়াবহ হবে তা বলার অপেক্ষা রাখেনা। আসন্ন এই পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য প্রস্তুতি নেয়ার সময়ও হাতে খুব বেশী নেই। হয় বিপ্লব পুরোপুরি বেহাত হয়ে যাবে নতুবা নতুন মাত্রা নিয়ে এগিয়ে যাবে। একই সাথে আওয়ামী লীগ হয়তো চিরতরে শেষ হয়ে যাবে নতুবা বাংলাদেশ তার স্বার্বভৌমত্ত্ব হারিয়ে সিকিম এর পরিণতি বরণ করবে। তবে ভারত কি এদিকে নজর দেয়ার সময় পাবে? তারা নিজেদের পরিস্থিতি সামাল দিতেই হিমশিম খাবে। ভারতের সরাসরি সহায়তা ছাড়া এই যুদ্ধে আওয়ামী লীগ চিরদিনের জন্য অসহায় পরাজয় বরণ করবে।